CV Studio FAQ

FAQ

Frequently Asked Questions (FAQ) / অধিক জিজ্ঞাসিত প্রশ্নসমূহ:—
 
১. সিভি এবং রেজুমির মধ্যে পার্থক্য কী?
→ বহুল জিজ্ঞাসিত এই প্রশ্নটির উত্তর একদম সহজ করে বলতে গেলে, একজন ফ্রেশার তথা বিনা অভিজ্ঞতার চাকরিপ্রার্থীর সিভি এবং রেজুমি দেখতে একই রকম হয়। সিভি লেখা হয় সাধারণত বিদেশে উচ্চশিক্ষার আবেদন করার জন্য যেখানে স্টাডি অবজেক্টটিভস বিষয়টাকে ফুটে তোলা হয় আর রেজুমি লেখা হয় চাকরির আবেদন করার জন্য যেখানে ক্যারিয়ার অবজেক্টটিভস বিষয়টাকে ফুটে তোলা হয়; তাই রেজুমির শুরুর দিকে পূর্বের জব এক্সপেরিয়েন্স লেখা হয় এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা, ব্যক্তিগত বিষয়াদি ও অন্যান্য তথ্যাদি তার পরে লেখা হয়। একজন ফ্রেশারের যেহেতু জব এক্সপেরিয়েন্স থাকে না তাই তার রেজুমি দেখতে সিভির মতো হয়ে থাকে। Resume শব্দের পারিভাষিক অর্থ জীবন বৃত্তান্ত আর সাহিত্যিক অর্থ ‘নতুন করে শুরু করা’ কিংবা ‘বিরতি পর শুরু করা’, অথাৎ— আপনি এক জায়গায় জব করছেন আর সেটা ছেড়ে এখানে আবার নতুন করে জব শুরু করতে চান কিংবা একসময় আপনি জব করতেন এবং চাকরি ছেড়ে জব থেকে বিরত ছিলেন তবে এখন আবার বিরতির পর শুরু করতে চান। কিছু কিছু ফোনে ভিডিও চালু করার পর Start Over এবং Resume দুইটা অপশন আসে। সেটার সাথে মিলিয়ে চিন্তা করে বিষয়টা বুঝে নিতে পারেন।
তবে বাংলাদেশে রেজুমি টার্মটা নতুন এর মতো হওয়ায় আমরা রেজুমি বলতে সিভিকেই বুঝে থাকি।
 
২. কাভার লেটার কী?
→ কোনো প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে সেখানে যে চাকরির আবেদনপত্র লেখা হয় সেটাই ‘কাভার লেটার’। কাভার লেটারের সাথে CV এবং উল্লেখিত কাগজপত্রাদি সংযুক্ত করতে হয়; এই বিষয়টি প্রায় সকলেই জানে এবং যথাযথভাবে করে থাকে, কারণ বিজ্ঞপ্তিতে সবকিছু সুন্দরভাবে লেখা থাকে।
কিন্তু ই-মেইলে সিভি পাঠিয়ে আবেদন করার ক্ষেত্রে অনেক প্রার্থীই কাভার লেটার ছাড়াই CV পাঠিয়ে থাকে। এটা একটা নির্বুদ্ধিতা। কারণ এটা একটা প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করার ফর্মালিটি এবং স্ট্যান্ডার্ড ফলো করে না আর এতে চাকরির আবেদনের বিষয়টিই ফুটে উঠে না। কার্যত কাভার লেটার ছাড়া শুধু সিভি দিলে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বুঝতে পারে না যে সিভিটা কেনো দিয়েছে, কিংবা সেই সময়ে তাদের নিয়োগের আবেদন গ্রহণ চললেও তারা আসলে বুঝতে পারেন না যে এই সিভি কোন পোস্টের আবেদন করার জন্য সাবমিট করেছে। ফলে এটা প্রার্থীর কমনসেন্সহীনতার পরিচয় দিয়ে থাকে।
তাই চাকরির আবেদনের জন্য সিভি পাঠালে অবশ্যই সেই সিভির সঙ্গে কাভার লেটার দিতে হবে এবং কোন পোস্টের জন্য আবেদন করা হয়েছে তা স্পষ্ট করে লিখে দিতে হবে।
ই-মেইল এর ‘Subject’ এর স্থানে “Application for the post of _______” কিংবা বাংলায় লিখলে ” _______ পদে চাকরির আবেদন” কথাটা লিখতে হবে এবং ই-মেইল এর বর্ণনার স্থানে কাভার লেটার লিখে দিতে হবে। আর ই-মেইল এর Attachment অপশনে গিয়ে CV এবং প্রয়োজনে উল্লেখিত কাগজপত্রাদির সফট কপি সংযুক্ত করে দিতে হবে। আরও পরিপূর্ণভাবে আবেদন করতে গেলে ই-মেইলের বর্ণনায় কাভার লেটারের কথাগুলো লিখে দেওয়া ছাড়াও অ্যাটাচমেন্ট সেকশনেও কাভার লেটার দিতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রথমে কাভার লেটারের পিডিএফ কপি সংযুক্ত করার পর CV সংযুক্ত করতে হবে এবং এরপর অন্যকোনও ডকুমেন্ট চাওয়া হয়ে থাকলে সেসবের পিডিএফ কপি সেই একই ই-মেইলে সংযুক্ত করে দিতে হয়।
 
৩. ফুল সিভি এবং কাস্টমাইজড সিভি কী?
যখন আপনি আপনার সিভিতে আপনার কোনো বিশেষ দক্ষতা বা বিশেষ বিষয়কে হাইলাইট করে তুলে না ধরে আপনার সকল দক্ষতা ও বিষয়াদি সমানভাবে উপস্থাপন করে থাকেন এবং আপনার প্রায় সকল প্রকার তথ্যই সিভিটাতে দিয়ে থাকেন সেটা হলো ফুল সিভি বা সাধারণ সিভি। আপনি যদি একটি সাধারণ সিভি তৈরি করে সেটিই সবখানে দিতে চান তাহলে এরূপ ফুল সিভিতে আপনার সব দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা পয়েন্ট পয়েন্ট করে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবেন যাতে সহজেই সিভিতে কোনো পয়েন্ট খুব দ্রুত খুঁজে পাওয়া যায়। আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিষয়ে বহু তথ্য থাকলে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো লিখবেন।
অপরদিকে কাস্টমাইজড সিভি হলো কোনো চাকরিতে আবেদনের জন্য সেই চাকরির জন্য অধিকতর গ্রহণযোগ্য করে তৈরি করা সিভি। এরূপ সিভিতে আপনি যে বিষয়ে তথা যে ধরণের চাকরিতে আবেদন করছেন সেই চাকরি রিলেটেড আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার বিষয়টি জুম করে উপস্থাপন করবেন। সেইসঙ্গে অন্যান্য কমন দক্ষতাসমূহ যথা— ল্যাঙ্গুয়েজ স্কিল, কম্পিউটার স্কিল, কমিউনিকেশন স্কিল ইত্যাদি সাধারণভাবে উপস্থাপন করবেন। যেমন ধরুন আপনি ব্যাংকের চাকরিতে আবেদনের জন্য সিভি পাঠাচ্ছেন, তাহলে আপনি আপনার সিভিতে আপনার ব্যাংক রিলেটেড দক্ষতাগুলো হাইলাইট করে তুলে ধরবেন যাতে সিভিটাতে একটা ব্যাংক ব্যাংক ভাব থাকে, যদি কোনো ইন্টারন্যাশনাল ওরগানাইজেশনে আবেদনের জন্য সিভি পাঠিয়ে থাকেন তাহলে আপনার সিভিটাতে যেনো একটা ওরগানাইজেশন ওরগানাইজেশন ভাব থাকে।
সিভি স্টুডিও এর ডিজাইন মেন্যুতে গেলে আপনি ফুল সিভি এবং কাস্টমাইজড সিভি দেখতে পাবেন। ডিজাইন মেন্যুতে যেতে এখানে—ক্লিক—করুন
কাস্টমাইজড সিভি আবার দুই প্রকারের হয়ে থাকে, যথা— ক্যাটাগরি কাস্টমাইজড এবং ইন্সটিটিউশনাল কাস্টমাইজড বা সুপার কাস্টমাইজড।
ক) ক্যাটাগরি কাস্টমাইজড: যখন একটি সিভি কে একটি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির চাকরির জন্য কাস্টমাইজড করে তৈরি করা হয় সেটি হলো ক্যাটাগরি কাস্টমাইজড সিভি, যেমন— ব্যাংক জব এর কাস্টমাইজড সিভি, ওয়েলফেয়ার অরগানাইজেশন এর কাস্টমাইজড সিভি ইত্যাদি। ক্যাটাগরি কাস্টমাইজড সিভির একটি নমুনা (প্রাইভেট স্কুলের জব) দেখতে এখানে—ক্লিক—করুন
খ) ইন্সটিটিউশনাল কাস্টমাইজড/ সুপার কাস্টমাইজড সিভি: যখন কোনো একটি সিভি একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জন্য সেই প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশা মাফিক পারফেক্ট করে তৈরি করা হয় সেটা হলো সেই প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি করা সুপার কাস্টমাইজড সিভি বা ইন্সটিটিউশনাল কাস্টমাইজড সিভি। যে প্রতিষ্ঠানের কাছে যে ধরণের সিভি প্রিয় হয়ে থাকে তথা তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশা যে ধরণের সিভিতে প্রতিফলিত হয়, এককথায় সেই প্রতিষ্ঠান যে ধরণের সিভি পছন্দ করে সেই প্রতিষ্ঠানের জন্য সেই ধরণের সিভি তৈরি করাই হলো সুপার কাস্টমাইজড সিভি। এরূপ সিভি তৈরির বাস্তবিক কারণ হলো, দেখা যায় ভালো কোনো প্রাইভেট জব এর জন্য মাত্র ১/২ টি পোস্টের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিভি আহবান করা হলেও সেখানে ৪০০-৬০০ টি সিভি/ আবেদন পড়ে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, সেই প্রতিষ্ঠান তাদের সেই চাকরির কর্মী নিয়োগের জন্য চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে যেসব গুণাবলি তথা যোগ্যতা–দক্ষতা–অভিজ্ঞতা আশা করেন সেসব গুণাবলি কোনো একজন চাকরিপ্রার্থীর ফুল সিভিতে কোথায় আছে তা খুঁজে বের করে দেখে দেখে সিভি বাছাই করে শর্টলিস্ট করার মতো সময় নিয়োগদাতার হাতে থাকে না। তাই তারা সুপার কাস্টমাইজড সিভিগুলোকে দ্রুত সময়ে শর্টলিস্ট করে থাকেন এবং অগোছালো টাইপের ফুল সিভি যেখানে নির্দিষ্ট তথ্য দ্রুত চোখে পড়ে না সেসব সিভি ভালোভাবে না দেখেই ফেলে দেন। তাই ইন্টারভিউয়ে কল পেতে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সুপার কাস্টমাইজড সিভি তৈরির কোনো বিকল্প নেই।
একটি সুপার কাস্টমাইজড সিভির নমুনা দেখতে এখানে—ক্লিক—করুন এবং পিডিএফ কপির প্রথম পৃষ্ঠায় সংযুক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি দেখে নিয়ে পরের পৃষ্ঠায় সুপার কাস্টমাইজড সিভিটি দেখুন।
 
৪. প্রেসক্রাইবড সিভি কী?
→ কোনো বিশেষ প্রতিষ্ঠান যখন তাদের কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য একটি নিজস্ব সিভি ফরমেট দিয়ে আবেদন ফরমের MS Word ফাইল তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে থাকেন এবং নিয়োগপ্রার্থী আবেদনকারীদেরকে সেই আবেদন ফরমের ওয়ার্ড ফাইল ডাউনলোড করে তা নির্দেশমতো কম্পিউটারে টাইপ করে পূরণ করে কিংবা প্রিন্ট করে হাতে লিখে পূরণ করে তা স্ক্যান করে পূরণকৃৃত আবেদন ফরম সেই প্রতিষ্ঠানের ই-মেইলে প্রেরণ করে উক্ত চাকরির আবেদন করতে হয় সেই সিভিকে প্রেসক্রাইবড সিভি বলে।
মূলত, প্রার্থীর নিজ ইচ্ছামতো তৈরি সিভি আহবান করলে সকল চাকরিপ্রার্থী তাদের নিজ নিজ পছন্দসই ডিজাইনের সিভি দিয়ে আবেদন করেন, ফলে বিভিন্ন প্রার্থীর সিভিতে সেই জবের প্রাথমিক বাছাইয়ে বিবেচ্য বিষয়গুলো তথা পয়েন্টগুলো একেকজনের সিভিতে একেক জায়গায় থাকে বলে সেসব খুঁজে দেখে দেখে সিভি বাছাই করাটা বেশ সময়সাপেক্ষ কাজ; তাই নির্দিষ্ট বিবেচ্য বিষয়গুলো যাতে দ্রুত নজর দিয়ে দ্রুত সিভি বাছাই করার কাজ শেষ করা যায় তাই নির্দিষ্ট ফরমেটে প্রেসক্রাইবড সিভি আহবান করা হয়ে থাকে। নিম্নে কিছু প্রেসক্রাইডব সিভির নমুনা দেওয়া হলো।
• International Organization for Migration (IOM) এর প্রেসক্রাইবড সিভি দেখতে এখানে—ক্লিক—করুন
• বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এর প্রেসক্রাইবড সিভি দেখতে এখানে—ক্লিক—করুন
• Manarat Dhaka International School & College এর প্রেসক্রাইবড সিভি দেখতে এখানে—ক্লিক—করুন
 
৫. ইন্সটিটিউশনাল অনলাইন সিভি কী?
→ যখন কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো চাকরির নিয়োগের জন্য সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে একটি অ্যাপ্লিকেন্টস অ্যাকাউন্ট খুলে তাতে নিজের বিস্তারিত সকল তথ্য দিয়ে বিডিজবস এর মতো একটি অ্যাকাউন্ট সেখানে কমপ্লিট করতে হয় এবং অ্যাকাউন্টে লগইন করে তাদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোতে অ্যাপ্লাই করতে হয় সেটা হলো ইন্সটিটিউশনাল অনলাইন সিভি। বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট ব্যাংক এবং গ্রামীণফোন ও রবি’র মতো টেক কোম্পানি ইত্যাদি বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানে অ্যাপ্লিকেন্টস অ্যাকাউন্ট খুলে ইন্সটিটিউশনাল অনলাইন সিভি তৈরির মাধ্যমে চাকরির আবেদন করতে হয়।
 
৬. গুগল ফর্ম সিভি কী?
→ গুগল ফর্ম ব্যবহার করে যেমন বহুনির্বাচনী কিংবা সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্নের পরীক্ষা নেওয়া হয় তেমনি এটা ব্যবহার করে চাকরির আবেদনও গ্রহণ করা হয়। যখন কোনো প্রতিষ্ঠান দ্রুত তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য গুগলে একটি অনলাইন আবেদন ফর্ম তৈরি করেন যেটাতে আবেদনকারী প্রার্থীদেরকে কিছু প্রশ্নের উত্তর বা তথ্য সেখানে টাইপ করে দিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হয় এবং এরফলে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের গুগল ড্রাইভে সেই আবেদনকরীর তথ্যগুলো নিয়ে তার একটি সিভি/ আবেদনপত্র তৈরি হয়ে জমা পড়ে সেটাই হলো গুগল ফর্ম সিভি।
 
আরও পড়ুন—
 
© মেহেদী হাসান, ক্যারিয়ার কনসালটেন্ট এবং “জব হ্যাকস” বইয়ের লেখক।
সিইও, সিভি স্টুডিও।
ই-মেইল: me@mahadihasan.info
ওয়েবসাইট: www.mahadihasan.info
 
Note: “জব হ্যাকস” বইটির বিস্তারিত জানতে এবং বইটির কয়েক পৃষ্ঠা ফ্রিতে পড়ে দেখতে এখানে–ক্লিক–করুন
 
CV Studio |
Phone: +8801746315639